পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা টিউটোরিয়াল -১১

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
মো. ফোরকান আহমেদ,সহকারী শিক্ষক, মুনলাইট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
আকাইদ-বিশ্বাস
প্রশ্ন : ঈমান শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ঈমান একটি আরবি শব্দ। ঈমান শব্দের অর্থ দৃঢ় বিশ্বাস। ইসলামী পরিভাষায় মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লা আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছেন সেসব বিষয়কে অন্তরে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা এবং সে অনুযায়ী কাজ করাকে ঈমান বলে। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে প্রথম ও প্রধান হচ্ছে ঈমান।
প্রশ্ন : সারা বিশ্বের পালনকর্তা কে?
উত্তর : আমরা যা কিছু দেখতে পাই সবই আল্লাহতায়ালা সৃষ্টি করেছেন। আবার অনেক কিছু আছে যেগুলো আমরা দেখতে পাই না, সেগুলোও তিনিই সৃষ্টি করেছেন। তিনি এগুলো শুধু সৃষ্টি করেই ছেড়ে দেননি। তিনি তার নেয়ামতগুলো দিয়েও লালন-পালন করেন। সারা বিশ্বের পালনকর্তা মহান আল্লাহতায়ালা। তিনি নিখিল বিশ্বের লালন-পালনকারী।
প্রশ্ন : আমাদের দ্বীনের নাম কী?
উত্তর : আমরা মুসলমান। মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের জন্য দ্বীন মনোনীত করে দিয়েছেন। আমাদের দ্বীনের নাম হল ইসলাম। আর এ ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। আল্লাহতায়ালার আনুগত্যের নামই হচ্ছে ইসলাম। এ আনুগত্যের জন্য প্রয়োজন আল্লাহ সম্পর্কে জানা ও ঈমান আনা।
প্রশ্ন : মুমিন কাকে বলে? ঈমানের ফল কী?
উত্তর : মুমিন : ইসলামের মূল বিষয় যেমন- আল্লাহ, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, শেষ দিবস, মৃত্যু ও মৃত্যুর পর পুনরুত্থানকে অন্তরে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা এবং সে অনুযায়ী আমল করাই হল প্রকৃত ঈমান। যার ঈমান আছে তাকে মুমিন বলে।
ঈমানের ফল : ঈমান মানুষের মনে আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। ঈমানের ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়। একজন মানুষ ঈমানদার হলে তার মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় থাকবে। একজন মুমিন ব্যক্তি সদা সত্য কথা বলবেন। সৎ পথে চলবেন। লোভ হিংসা বিদ্বেষের ঊর্ধ্বে থাকবেন। ন্যায়ের পথে কাজ করে যাবেন। নিষেধগুলো পরিহার করবেন। মুমিন ব্যক্তি সত্যের জন্য লড়াই করবেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। এতে তিনি ইহকালে শান্তি পাবেন। পরকালে জান্নাতে যাবেন।
প্রশ্ন : আমরা কী বলে আল্লাহর শোকর আদায় করব?
উত্তর : আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা। তিনি সব সৃষ্টিকে আমাদের আজ্ঞাবহ করে দিয়েছেন। আমরা একমাত্র তারই আনুগত্য ও শোকর আদায় করব। শোকর আদায় করতে গিয়ে আমরা বলব : আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।
অর্থ : সব প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর যিনি সারা বিশ্বের পালনকর্তা।
প্রশ্ন : সারা বিশ্বের পালনকর্তা কে? তাঁর লালন-পালনের একটি বর্ণনা দাও।
উত্তর : আমরা যা কিছু দেখতে পাই সবই আল্লাহতায়ালা সৃষ্টি করেছেন। আবার অনেক কিছু আছে যেগুলো আমরা দেখতে পাই না, সেগুলোও তিনিই সৃষ্টি করেছেন। তিনি এগুলো শুধু সৃষ্টি করেই ছেড়ে দেননি। তিনি তার নেয়ামতগুলো দিয়েও লালন-পালন করেন। সারা বিশ্বের পালনকর্তা মহান আল্লাহতায়ালা। তিনি নিখিল বিশ্বের লালন-পালনকারী। আল্লাহ মহান ও দয়াময়। আমাদের জীবনযাপনের জন্য অনেক রকমের কাজ করতে হয়। কাজ করতে শক্তি লাগে। শক্তির মূল উৎস হল মহান আল্লাহর সৃষ্টি সূর্য। সূর্যের আলো ছাড়া কোনো প্রাণীই বাঁচতে পারে না। কোনো প্রাণী শক্তিও পায় না। আমরা বাড়িতে এ ব্যাপারে একটি পরীক্ষা করে দেখতে পারি। একটা গাছের চারা একটি পাতিল বা একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখি। কয়েক দিন পর পাতিলটি বা ঢাকনাটি সরিয়ে চারাটি বের করলে দেখা যাবে যে, তা সাদাটে বা নিস্তেজ হয়ে গেছে। আলো না পাওয়ার জন্য এমনটি হয়েছে। আলো না পেলে শক্তির অভাবে চারাটি একদিন মরে যাবে। মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, তৃণলতা ইত্যাদি সূর্যের আলো ছাড়া বাঁচতে পারে না। আল্লাহ তাঁর সূর্যের আলো দিয়ে এসব লালন-পালন করেন।

No comments

Powered by Blogger.