পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান টিউটোরিয়াল -৬৭
পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান টিউটোরিয়াল
সিনিয়র
শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ
প্রশ্ন
: নিচের শব্দগুলো নিয়ে গঠিত খাদ্যশৃঙ্খলের সঠিক ক্রম ব্যাখ্যা কর। ঈগল, সূর্য,
ঘাস, পোকামাকড়, সাপ, ব্যাঙ।
সিনিয়র
শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ
প্রশ্ন
: নিচের শব্দগুলো নিয়ে গঠিত খাদ্যশৃঙ্খলের সঠিক ক্রম ব্যাখ্যা কর। ঈগল, সূর্য,
ঘাস, পোকামাকড়, সাপ, ব্যাঙ।
উত্তর
: প্রদত্ত শব্দগুলোর অবস্থান সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করে শব্দগুলোর সঠিকক্রম
খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাখ্যা করা হল।
শক্তির উৎস/আঁধার।gসূর্য
উৎপাদক, এটা সূর্য থেকে সরাসরি শক্তি শোষণ করে।gঘাস
১ম শ্রেণির খাদক। এরা ঘাসকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ
করে।gপোকা-মাকড়
২য় শ্রেণির খাদক। এরা শক্তির জন্য খাদ্য হিসেবে
পোকামাকড়কে খায়।gব্যাঙ
এরা ৩য় শ্রেণির খাদক। এরা খাদ্যশৃঙ্খলের ২য়
খাদক, ব্যাঙকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।gসাপ
এরা খাদ্যশৃঙ্খলের সর্বশেষ খাদক, এরা শক্তির উৎস
হিসেবে সাপকে খায়।gঈগল
প্রদত্ত
শব্দগুলোকে খাদ্যশৃঙ্খলের নিচের ক্রমে সাজানো যেতে পারে।
ঈগলg
সাপg
ব্যাঙg
ফড়িংg
ঘাসgসূর্য
সুতরাং
প্রদত্ত শব্দগুলো দিয়ে সূর্য থেকে ঘাস হয়ে ঈগল পর্যন্ত শক্তির প্রবাহ
ধারাবাহিকভাবে এ খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
প্রশ্ন
: বায়ুর ওপর জীব কীভাবে নির্ভরশীল তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর
: জীব বলতে উদ্ভিদ, বিভিন্ন প্রাণী ও মানুষকে বোঝায়। পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান
বায়ুর ওপর নানাভাবে জীব নির্ভরশীল। যেমন-
*
উদ্ভিদের ত্যাগ করা অক্সিজেন প্রাণী শ্বাস গ্রহণের সময় ব্যবহার করে। আবার উদ্ভিদ
খাদ্য তৈরির জন্য প্রাণীর ত্যাগ করা কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে।
*
সব জীব বায়ু থেকে অক্সিজেন শোষণ করে খাদ্য ভেঙে শক্তি তৈরি করে।
*
সব প্রাণী বায়ুপ্রবাহ ও বায়ু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রাত্যহিক জীবনের নানা
গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তাই বায়ুর ওপর জীব নানাভাবে নির্ভরশীল।
প্রশ্ন
: উদ্ভিদের জন্য বীজের বিস্তরণ কেন গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর
: মাতৃ উদ্ভিত থেকে বিভিন্ন স্থানে বীজের ছড়িয়ে পড়াই হল বীজের বিস্তরণ। পরাগায়ণের
ফলে উদ্ভিদের বীজ সৃষ্টি হয়। এ বীজ থেকে আবার নতুন উদ্ভিদ জন্মায়। বিভিন্ন প্রোণী
যেমন- পাখি, মৌমাছি ইত্যাদি এ পরাগায়ণে সাহায্য করে। বীজের বিস্তার নতুন নতুন
উদ্ভিদ আবাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে। বীজের বিস্তরণ না হলে উদ্ভিদের নতুন নতুন
আবাসস্থল গড়ে ওঠে না। একটি নির্দিষ্ট স্থানে উদ্ভিদের একটি নির্দিষ্ট জাত বা
প্রজাতি দেখা যাবে। বিশ্বব্যাপী একই জাতীয় উদ্ভিদ বিশ্বের নানা স্থানে ছড়িয়ে যাবে
না। ধীরে ধীরে উদ্ভিদের বিস্তরণের অভাবে উদ্ভিদের বিলুপ্তি ঘটে।
সুতরাং,
উদ্ভিদের প্রাকৃতিক ও কৃত্রিমভাবে বীজের বিস্তরণ নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে
সচেষ্ট থাকতে হবে। জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই উদ্ভিদের বীজের বিস্তরণ
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
No comments