পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান টিউটোরিয়াল -৭৯
পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান টিউটোরিয়াল
সিনিয়র
শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা
অধ্যায়-২
সিনিয়র
শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা
অধ্যায়-২
সংক্ষিপ্ত
প্রশ্ন
প্রশ্ন
: পরিবেশ দূষণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর
: পরিবেশ দূষণ : বেঁচে থাকার জন্য আমরা পরিবেশকে নানাভাবে ব্যবহার করি। ফলে
পরিবেশে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এ পরিবর্তন যখন জীবের জন্য ক্ষতিকর হয়, তখন তাকে
পরিবেশ দূষণ বোঝায়। বিভিন্ন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশলে পরিবেশ দূষিত
হয়।
প্রশ্ন
: বায়ু দূষণের ফলে কী হয়?
উত্তর
: বায়ু দূষণ :
*
যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা এবং মলমূত্র ত্যাগের ফলে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ায়। * বায়ু
দূষণের ফলে পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। * পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
* এসিড বৃষ্টি হচ্ছে। * দূষিত বায়ু মানুষের শ্বাসকার্যে ব্যাঘাত ঘটায় এবং দেহে
নানা রোগ সৃষ্টি করে। দূষিত বায়ুর কারণে মানবদেহে এলার্জি, কাশি, হাঁপানি,
ব্রঙ্কাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা, ফুসফুসে ক্যান্সার ইত্যাদি মারাত্মক রোগ
হতে পারে। মোট কথা বায়ু দূষণ বাড়তে থাকলে সে স্থানটি মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে
পড়ে। তাই বায়ু দূষণের ফলে মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
প্রশ্ন
: চার ধরনের পরিবেশ দূষণ কী কী?
উত্তর
: চার ধরনের পরিবেশ দূষণ নিুরূপ-
*
বায়ু দূষণ * পানি দূষণ * মাটি দূষণ * শব্দ দূষণ
প্রশ্ন
: পরিবেশ দূষণের উৎসগুলো কী?
উত্তর
: পরিবেশ দূষণের উৎস নিচে দেয়া হল-
*
পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হল শিল্পায়ন। শিল্প কারখানা সচল রাখতে বিভিন্ন
ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন- তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
এ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারই দূষণের প্রধান কারণ।
*
জনসংখ্যা বৃদ্ধি দূষণের আরও একটি বড় কারণ। প্রয়োজনীয় খাদ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের
জন্য মানুষ পরিবেশ ধ্বংস করছে। * পরিবেশের বেশিরভাগ দূষণ মানুষের দৈনন্দিন
কর্মকাণ্ড আর অসচেতনতার কারণেই হচ্ছে।
সুতরাং,
পরিবেশের নানা উপাদানের দূষণই পরিবেশ দূষণের প্রধান উৎস।
প্রশ্ন
: পরিবেশ সংরক্ষণের ৫টি উপায় লিখ।
উত্তর
: পরিবেশ সংরক্ষণের ৫টি উপায় নিচে দেয়া হল :
*
বিদ্যুৎ বা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে সবুজ শক্তি বা গ্রিন এনার্জি যেমন-
সূর্য বা বায়ু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করতে পারি। * গাড়িতে চড়ার পরিবর্তে হেঁটে বা সাইকেল ব্যবহার করে আমরা প্রাকৃতিক
সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি ও পরিবেশ দূষণ কমাতে পারি। * প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার
কমিয়ে, পুনঃব্যবহার করে ও রিসাইকেল করেও আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি।
* মাটি, পুকুর বা নদীতে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট
স্থানে ফেলে এবং গাছ লাগিয়ে, বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন করে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ
করতে পারি।
*
অপরিকল্পিত বাড়িঘর বা কল-কারখানা নির্মাণ বন্ধন করে, নদী শাসন ও খাল-বিল ভরাট বন্ধ
করে প্রাকৃতিক পরিবেশকে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
No comments